রাজধানীর বনানী এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ভবনের ছাদের ওপর কমপক্ষে ২৫ জন আটকা পড়েন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।
আহতদের মধ্যে দু’জনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে বনানীর ২৩ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে বলে জানিয়েছে ফায়ার কন্ট্রোল দফতর।
প্রথমে ভবনের দুই, তিন, পাঁচ ও সাত তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আতঙ্কিত অনেকেই ভবনের ছাদে অবস্থান নেন।
রাত সোয়া দুইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনের ভেতরে ঢোকা শুরু করেন। পৌনে তিনটার দিকে অন্তত ১০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে দুই জনকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি পাশের আরেকটি ভবনের ছাদ থেকে আগুন নেভানোর কাজ পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একে একে ভবনের ভেতর ঢুকে ছাদে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে শুরু করে। রাত তিনটার দিকে ছাদ থেকে অন্তত ২৫ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়। ততক্ষণে আগুন অনেকটাই নিভে আসে। এসময় কেবল পঞ্চম তলাতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
ভবনটির সামনের দিকে থাকা প্রতিটি তলার রান্না ঘরের দেয়াল বিষ্ফোরণে ভেঙ্গে পড়ে। ভবনটির বাইরে দেখা যায় অনেকগুলো ভাঙা কাঁচ ছড়িয়ে রয়েছে।
গ্যাস লাইন লিক করে বাড়ির সামনে জমে থাকা পানিতে বুদ বুদ উঠতে দেখা যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর (অপারেশন) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ জানান, এ ঘটনায় তিন জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারাণা করা হচ্ছে গ্যাস থেকে আগুন লাগতে পারে।
এদিকে বাড়ির মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম বলেন, রাস্তায় গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস লিক করছিলো। আগে থেকেই গ্যাসের গন্ধ আসছিলো। বিষয়টি আমরা কয়েকবার তিতাস গ্যাসের লোকজনকে জানাই। তারা আমাদের বললো বিষয়টি দেখছি। কিন্তু কোন সমাধান করেনি।
শামসুল আলমের অভিযোগের ভিত্তিতে তিতাস গ্যাসের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।