ফুটপাতের ওপর গাড়ি রাখায় চার গাড়িচালককে হাতেনাতে ধরলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। সোমবার বিকেলে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর এবং সংলগ্ন গুলশান এভিনিউয়ে মেয়র এ গাড়িচালকদের ধরে ফেলেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জরিমানা করা হয়। চারটি গাড়ির মধ্যে মহাজোটের একজন সংসদ সদস্যের একটি ব্যক্তিগত গাড়িও রয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর-ই-মওলা। তবে কোন সংসদ সদস্যের গাড়ি তা জানানো হয়নি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর-ই-মওলা জানান, ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ার ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো এবং একই সঙ্গে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর অধীনে গাড়ি চারটি জব্দ করে প্রত্যেক চালককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ গাড়িচালকরা হলেন- ফিরোজ (গাড়ি নং: ঢাকা মেট্রো- গ ২১-৮০৯৭), মো. মাসুদ শিকদার (গাড়ি নং: ঢাকা মেট্রো- ন ৫৩-২৭৩৭), মো. দুলাল হাওলাদার (গাড়ি নং: ঢাকা মেট্রো- গ ১২-৪২৪০) এবং নুরুজ্জামান (গাড়ি নং: ঢাকা মেট্রো- চ ৫৩-৩৭৮৮)।
গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বরে উপস্থিত অন্যান্য গাড়িচালকসহ সবাইকে উদ্দেশ করে মেয়র বলেন, আমরা সুপ্রশস্ত ফুটপাত নির্মাণ করেছি জনসাধারণের স্বচ্ছন্দ চলাচলের জন্য, সেখানে কেউ গাড়ি রাখলে এখন হয়তো সম্মান করে কেবল আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে, তবে আমি সতর্ক করে বলতে চাই, এই আইনে জেলদণ্ড দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে রাস্তার পাশের ভবন এবং দেয়ালগুলো রং করাচ্ছি। কাজেই এসব ভবন বা দেয়ালে লিখে বা পোস্টার লাগিয়ে কেউ যেন নগরীর সৌন্দর্য বিনষ্ট না করেন।
ইতোপূর্বে গত ৩০ মার্চেও একই অপরাধে তিনটি গাড়ি জব্দ এবং চালকদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।