দুর্নীতি বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করেছেন মেয়র আনিসুল হক। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,’সাবধান! দুর্নীতি করে চাকরি হারাবেন না। আমি চাকরি খাইলে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ ফেরত দিতে পারবে না। ভালো হয়ে যান। না হয় তিন বছর পর দুর্নীতি দমন কমিশনে ঘুরতে হবে।’

রোববার রাজধানীর গাবতলীতে স্থানীয় এমপি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলদের নিয়ে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মেয়র দ্রুত রাজধানীর ফুটপাথকে দখলমুক্ত করার কাজ শুরুর ঘোষণা দেন।

বৈঠকে ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আসলামুল হক আসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের মহিলা আসনের এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন। আসলামুল হককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,’আপনি সিলেকশনের এমপি। আর আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সিলেকটেড এমপি। শুধু আপনি বললে হবে না। সবার কথা শুনতে হবে।’

এর পর আসলামুল হক পাল্টা বক্তব্য দিতে গেলে মেয়র আনিসুল হকের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।

বৈঠকে কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন,’সড়কবাতির স্ট্যাটারগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের। বাজারের সবচেয়ে নিম্নমানের স্ট্যাটার কিনে লাগাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। অল্প দিনের মধ্যে এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তখন মেয়র এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

তিনি ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের জায়গা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। মেয়র ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলেন ‘আপনারা ভালোভাবে কাজ করেন। না হয় বিল পাবেন না। ডিএনসিসিতে কোনো টেন্ডারবাজি চলবে না।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবাশ্বের চৌধুরী, কাজী টিপু সুলতান, আবুল হোসেন, আবু তাহের, দেওয়ান আবদুল মান্নান, ইকবাল হোসেন তিতু, রাশিদা আক্তার ঝর্না, রাজিয়া সুলতানা ইতি, মাসুদা আক্তার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হকসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।