Published in: সমকাল, ১৩ মে ১৫
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক সিটি করপোরেশনের গাড়ি ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়া মেয়র হিসেবে তার প্রাধিকারভূক্ত আরও যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেগুলো নিতেও আগ্রহী নন তিনি। ডিএনসিসিরি পক্ষ থেকে এসব সুবিধা বিষয়ে তাকে অবহিত করা হলেও তিনি তাতে আগ্রহ দেখাননি।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএ এনামুল হক সমকালকে বলেন, ‘পুরনো অর্গানোগ্রামে মেয়রের জন্য একটি গাড়ি সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি পাস হওয়া নতুন অর্গানোগ্রামে মেয়রের জন্য দুটো গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উনি এখনো কোনো গাড়ি নেননি। গাড়ি পাওয়ার বিষয়ে অবহিত করা হলেও কোনো আগ্রহ দেখাননি। তারপরও কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দুটি গাড়ি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে যদি ভবিষ্যতে কোনো সময়ে উনার প্রয়োজন হয়।’
আনিসুল হক গাড়ি না নেওয়ায় তার জন্য সংরক্ষিত গাড়ি দুটি গুলশানের নগরভবনের পার্কিংয়ের এক পাশে রেখে দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটি করপোরেশনের এক চালক সমকালকে বলেন, ‘দুদিন গাড়ি নিয়ে মেয়রকে আনার জন্য বাসায় গিয়েছিলাম। মেয়র গাড়িতে ওঠেননি। ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে অফিস করছেন।’
এ বিষয়ে ডিএনসিসির মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) মাহাবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, ‘বর্তমান নিয়মে মেয়র মহোদয়ের জন্য দুটি গাড়ি ছাড়াও জ্বালানি বরাদ্দের ক্ষেত্রেও কোনো সীমারেখা নেই। এখন পর্যন্ত উনি গাড়ি ও জ্বালানির কোনোটাই নেননি। জ্বালানির বিষয়ে কিছু না জানালেও গাড়ি নেয়ার ব্যাপারে উনি না বলে দিয়েছেন।
দক্ষিণের মেয়রের গাড়ি বিকল
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৬১৬৮) বিকল হয়ে আছে। গত ৬ মে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গাড়িটি পাঠানো হয়। শপথ অনুষ্ঠান শেষে সাঈদ খোকন গাড়িতে ওঠার পরই গাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বিকল দেখতে পান। পরে তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান। ওই দিনই গাড়িটি মেরামতের জন্য তেজগাঁওয়ের প্যাসিফিক মোটর্সে পাঠানো হয়।
প্যাসিফিক মোটর্স থেকে জানানো হয়,এসি নষ্ট ছাড়াও কিছু সময় চলার পরই গাড়ির ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হয়ে যায়। চলার সময় গাড়িটি ব্যাপকভাবে কাঁপতে থাকে। ২ লাখ টাকা খরচ করে গাড়িটি মেরামত শেষে গত মঙ্গলবার গাড়িটি নগরভবনে নেওয়ার পর আবার বিকল হয়ে যায়। বিকল গাড়িটি ডিএসসিসির বেজমেন্টে রেখে দেওয়া হয়েছে। মেয়রের ব্যবহারের জন্য ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য বরাদ্দকৃত একটি প্র্যাডো গাড়ি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনসার আলী খান সমকালকে বলেন,’গাড়ির একটি পার্টস পাওয়া যাচ্ছে না। সেটা বিদেশ থেকে আনতে সময় লাগবে। আপাতত তার গাড়িটি মেয়রকে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। আর ওই গাড়িটি অনেক পুরনো। মেয়রের জন্য একটি নতুন গাড়ি কেনা খুব প্রয়োজন।’