ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার চেহারা বদলে যাবে। এ কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আধুনিক দু’টি পাবলিক টয়লেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ঢাকা মহানগরীতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। তেজগাঁওয়ের এই পাবলিক টয়লেট চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে আরেকটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। নবনির্মিত পাবলিক টয়লেটগুলো আধুনিক এবং সকল সুবিধা সম্বলিত। এর পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিতে হবে নগরবাসীকে।
তিনি আরও বলেন, এ রকম আরও ১৪টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। এ জন্য জমির সন্ধান দিতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ঢাকা শহরের ৮৬টি পেট্রোল পাম্পে পাবলিক টয়লেট সুবিধা প্রদানের জন্য পেট্রোল পাম্পের মালিকদের সাথে বৈঠক হয়েছে। এতে আশানুরুপ সাড়া পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আবারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে এইচএম কনশাস ফাউন্ডেশন এবং ওয়াটার এইডের সহযোগিতায় তেজগাঁও সাতরাস্তায় টিঅ্যান্ডটি গেইট ও হাজী মরণ আলী রোডে পাবলিক টয়লেট দুটি নির্মাণ করা হয়।
মেয়র বলেন, গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় পাইপ-নর্দমা নির্মাণের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না।
তিনি বলেন, রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজনে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কাটা হলেও আগামী ২ বছরের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনন এলাকায় ৩ লাখ ২৫ হাজার গাছ লাগানো হবে।
আনিসুল হক বলেন, নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে ৩০০ সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে আরও ৬০০ সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত মি. জোহান ফ্রিসেল, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন এ খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, এইচএনএম বাংলাদেশের লিয়াজোঁ অফিসের চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ মি. রোজার হারবার্ট, ওয়াটারএইডের আঞ্চলিক প্রধান মিসেস থেরেস মোহন এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ডা. মো. খায়রুল ইসলাম।
Published in: The Bangla Tribune on April 18th, 2016